চাঁপাইনবাবগঞ্জে হলুদ রঙের তরমুজ চাষ
প্রকাশিত : 08:46 AM, 27 April 2021 Tuesday

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ১৫ কাঠা জমিতে হলুদ তরমুজ চাষ করেছিলেন গোমস্তাপুর উপজেলার শরিফুল ইসলাম। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে আট হাজার টাকায় চায়না জাতের এই তরমুজের বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ফলন ভালো এবং দাম বেশি পাওয়ায় এবার তিনি মোট ছয় বিঘা জমিতে দু’জাতের তরমুজ চাষ করেছেন।
শরিফুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালে তিনি প্রথমে নিজের ১৫ কাঠা জমিতে হলুদ তরমুজ চাষ করেন। তাতে মোট খরচ হয় ২৫ হাজার টাকা। সেখান থেকে আয় করেন খরচ বাদে ৭৫ হাজার টাকা। সে তরমুজ বিক্রি শেষে আবারও তিনি ১৫ কাটা জমিতে তরমুজ চাষ করে আয় করেন ৭৫ হাজার টাকার ওপরে।
তিনি বলেন, বছরে তিনবার হলুদ জাতের এই তরমুজ পাওয়া সম্ভব। এ বছর তিনি মোট ছয় বিঘা জমিতে কালো এবং হলুদ তরমুজ চাষ করেছেন। দুদিনে ৭০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। সেই সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে নিয়েছেন একই উপজেলার আবদুল মমিন, শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের মনিরুলকে। শরিফুল ইসলাম আরও জানান, তিনি তরমুজের পাশাপাশি আট বিঘা জমিতে ধানচাষ করেছেন।
ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। সব মিলিয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই কৃষক।
অপর তরমুজ চাষি মমিন জানান, তিনি মূলত ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। শ্রমিকের পাশাপাশি তিনি তরমুজ চাষ করছেন। তিনি জানান,তরমুজে যে পরিমাণ আয় হচ্ছে তাতে অন্যের ইটভাটায় আর শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হবে না। কারণ হিসেবে তিনি বললেন, তরমুজের ক্ষেতে বেশ কিছু শ্রমিক লাগে। সে কাজগুলো নিজে করতে পারলে আয় আরও বেড়ে যাবে।
তরমুজ চাষি মনিরুল ইসলাম জানালেন, তিনি বছরে একবার ধানচাষ করতেন। ধানচাষ করে তার সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। এখন তরমুজ চাষ করে অধিক পরিমাণে আয় করছেন।
তিনি জানান, তরমুজ চাষ একটি ঝুঁকিপূর্ণ ফসল। সন্তানের মতো যত্ন করে পুষ্ট করে তুলতে হয়। সময়মতো সার-বিষ ও পানি দিতে হয়। তিনি জানান, চলতি মৌসুমে এবার বৃষ্টি না হওয়ায় খরচ বেড়ে গেছে। বাইরের ডিপ টিউবওয়েল থেকে পানি দিতে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে। তারপরেও ফলন ভালো হয়েছে।
‘করোনার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা আসতে পারছেন না। ফলে কম দাম হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
জানতে চাইলে গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলে সব ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। কৃষকদের এখন হলুদ এবং কালো রংয়ের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সময়মতো ক্ষেতে গিয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
বাংলার সকাল
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক বাংলার সকাল'কে জানাতে ই-মেইল করুন- banglarsakal24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
দৈনিক বাংলার সকাল'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।