লকডাউন এর মধ্যেও রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়
প্রকাশিত : 12:29 PM, 11 April 2021 Sunday

লকডাউনের মধ্যেও রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় ক্রেতাদের। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় কেনাকাটার ধুম পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকেই সেরে নিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটাও। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। গতকাল শনিবার হওয়া সত্ত্বেও রাজধানীর সড়কগুলোতে দেখা গেছে যানজটের চিরচেনা দৃশ্য। গতকাল সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য নিউমার্কেট এলাকা। শুধু ফুটপাতই নয়, মানুষের ভিড় মার্কেটের ভেতরেও। নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনীচকসহ আশপাশের সব বিপণিবিতানেই একই দৃশ্য। ঢিলেঢালা লকডাউনের সুযোগে ঠেলাঠেলি করে কেনাকাটায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। ফলে মাস্ক পরার প্রবণতা বাড়লেও সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না। করোনার সংক্রমণের মধ্যে কেনাকাটা করতে আসা ঝুঁকিপূর্ণ কি না এমন প্রশ্নে এক ক্রেতা বলেন, ‘হ্যাঁ, অনেকটা তো ঝুঁকিপূর্ণ।’ তাহলে কেন এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে দরকার ছিল এজন্য এসেছি। আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আসতে চাইনি। কিছু জরুরি কাজের কারণে আসতে হয়েছে। কারণ, কিছু কাজ তো করতেই হয়।’
১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণার প্রভাব পড়েছে বিপণিবিতানগুলোতো। বিপণিবিতান বন্ধ হয়ে যেতে পারে অনির্দিষ্টকালের জন্য এমন আশঙ্কায় প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় বের হয়েছেন সাধারণ মানুষ।। এমনকি ঈদের শপিংও করতে দেখা গেছে অনেককে। ‘আবার লকডাউন দিচ্ছে। কবে আবার খুলবে তার কোনো শিওরিটি (নিশ্চয়তা) নেই। এজন্য আমি আগে থেকেই মার্কেট সেরে নিচ্ছি’, বললেন এক ক্রেতা। আরেক ক্রেতা বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা করলাম হালকা-পাতলা।’ ঈদ তো অনেক দেরি। এত আগে কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই যে লকডাউনের জন্য ঝামেলা হয়ে যাবে। গাড়ি চলবে না। তখন অনেক ঝামেলা হয়ে যাবে আসা। এ জন্য আগে আগে বাচ্চাদের জামাকাপড় কিনলাম।’ আরেক ক্রেতা বললেন, ‘নিজেদের জন্য না হোক, বাচ্চাদের জন্য তো অবশ্যই (কিনতে হয়), বাচ্চারা তো একটু আশা করে। তার ওপর আবার লকডাউন হবে শুনছি। সেজন্য ভাবলাম যে সেরে আসি আজ।’ গতকাল রাস্তায় আগের কয়েকদিনের চেয়ে বেশি যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক বাংলার সকাল'কে জানাতে ই-মেইল করুন- banglarsakal24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
দৈনিক বাংলার সকাল'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।