রাবি সম্পদ হরিলুট রক্ষার্থে রাস্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা
প্রকাশিত : 06:33 AM, 10 April 2021 Saturday

এনায়েত,রাজশাহীঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পশ্চিমপাড়া (গোদাগাড়ী বাগান) একটি ও রাবি ফায়ার সার্ভিসের পশ্চিমে একটি এবং হরিজন পল্লীর দক্ষিণে চৌদ্দপাই বিলের মাঝ রাস্তায় একটি মোট ৩টি স্থানের পুকুর খননের মাটি চুরি করে ৩০ থেকে ৪০টি ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাক যোগে কাটাখালী থানাধীন মাসকাটাদিঘী আঃ কুদ্দুস চেয়ারম্যানের ভাটাসহ বিভিন্ন ভাটায় এবং মহনপুর মহল্লার পুকুর ভরাটকারিদের কাছে। অথচ পুকুরটির চারিদিকে বড় বড় গর্ত রয়েছে সেখানেই হাজার হাজার ট্রাক মাটির প্রয়োজন। ওই যায়গায় মাটি গুলো না দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে মাটি গুলো বিক্রি করা হচ্ছে।
এব্যাপারে রাবি একাধীক শিক্ষক বলেন, বর্তমান প্রশাসন ভিসি আঃ সোবহান ও প্রভিসি জাকারিয়া জেনে শুনে সকল কে ছাড় দিয়ে রেখেছেন। অন্যথায় এক ছটাক মাটি ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সাধ্য কাহার নাই। এই প্রশাসন সকল কে ছাড় দিয়ে রেখেছে বিধায় সমস্ত প্রশাসন রহস্য জনক নিরব ভূমিকা পালন করছে। তা’নাহলে দিন রাত কিভাবে মহাসড়ক দিয়ে মাটি গুলি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে আইন আছে প্রয়োগ নাই। দিনের বেলায় থানা পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় কি ভাবে মাটি গুলি এক থানা এলাকা থেকে আরেক থানা এলাকায় নিয়ে যায়।
রাবি সহ জেলা প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করায় কিছুদিন আগে বিহাসের সামনে একজন পুলিশ সদস্য ড্রাম ট্রাকের নিচে পড়ে মৃত্যু বরন করেন। তবুও পুলিশ প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন নি। রাতদিন মতিহার অঞ্চলে বালুবাহী গাড়ির অবাধ চলাচল করছে বাড়ছে জনদূর্ভগ। মাটি ভর্তি করে মাটি গুলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফায়ার সার্ভিসের পাশ দিয়ে কাটাখালী পযন্ত তাড়া হুড়ো করে নিয়ে যাওয়ার পথে মাটি পড়ে পড়ে ইতি মধ্যেই মফস্বল ও ঢাকা হাইওয়ে রোডে চলা চলে বিঘ্ন ঘচ্ছে। ইতি মধ্যেই কয়েকটি ট্রাকটর গাড়ীর সাথে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে হাত পা ভেঙে রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনজন। দূর্ঘটনা থেকে রেহায় পাচ্ছেন না রিক্সায় থাকা যাত্রিরাও।
পুকুর খননের মাটি বিধি মোতাবেক পুকুরের চারিদিকে দেওয়ার বিধান থাকলেও কেয়ার টেকাররা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে মুল্যবান মাটি বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করছে। তাদের সাথে জড়িত আছে ট্রাক্টর ড্রাইভারগন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেয়ার টেকার পলাশ বলেন, রাবি সহায়ক কর্মচারি মেহের চন্ডী নিবাসী বেলাল ভাই পুকুর খননের দায়িত্বে আছেন, তাকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন। রা:বি: ভিসি, আবদুস সোবহান, প্রভিসি, জাকারিয়া এবং প্রক্টর লুৎফর রহমান। বেলাল ভাই স্যারদেরকে জানিয়ে মাটি বিক্রি করছেন। তার কাছে থেকে ট্রাক প্রতি ৩০০ টাকা দরে মাটি কিনে নিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্রি করছি।
এখানে কেহ বাধা দেওয়ার নাই। এমতবস্থায় ছবি তুলতে গেলে, কাটাখালী থানাধীন কিশমত কুখডি এলাকার একদল মাস্তান বাহিনী ও কয়েকজন ট্রাক্টর ড্রাইভার বাধা দেন। তারা বলেন, এখানে ছবি তোলা যাবে না। আপনার ছবি তোলার প্রয়োজন হলে, রাস্তায় গিয়ে ছবি উঠান আর যা লেখার প্রয়োজন তা লেখেন।
এ বিষয়ে জানাতে ভিসি আঃ সোবহান এবং প্রভিসি জাকারিয়া কে ১০’২৬ মিনিটে ফোনে করা হলে উনারা ফোন রিসিভ না করায় উনাদের কোন মতামত পাওয়া যায় নি।
পরে প্রভিসি আনান্দ কুমার কে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি একটু জ্বরুরি কাজে আছি আপনি দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার প্রদীপ কুমার ও সাজ্জাদ কে জানান,
প্রভিসি সাহেবের কথায় ইনচার্জ প্রদীপ কুমার কে ফোন করা হলে তিনি জানান, রাবি সিন্ডিকেট থেকে পাশ করা আছে ক্যাম্পাসের এক মুঠো মাটি বিক্রি করা যাবেনা। কিন্তু ঠিকাদারগনের লোকজন জেনে শুনে আইন ভঙ্গ করে দিনে বা রাতের আধারে ক্যাম্পাসের বাইরে মাটি চুরি করে বিক্রি করছে।
এব্যাপারে রাবি প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমান কে রাত্রি ১১’০০ দিকে জানানো হলে তিনি বলেন, এক্ষুনি পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রাত্রি ১’৩৫ পযন্ত রাবি প্রশাসন বা থানা পুলিশ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন নি। পরিশেষে সেখান থেকে চলে আসি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি ক্যাম্পাসের বাহিরে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করায় সুশিল সমাজ, এই প্রশাসনকে ঘৃনার নজরে দেখছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রাবি শিক্ষক বলেন, রাবি মধ্যে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মন্দিরে মাটির প্রয়োজন হওয়ায় ক্যম্পাসের বাইরে থেকে মাটি কিনে এনে তা পূরন করা হয়েছে। আর বর্তমানে বিহাসের সামনে দিয়ে কাটাখালী থানাধীন আঃ কুদ্দুস চেয়ারম্যানের ভাটাসহ বিভিন্ন ভাটায় যাচ্ছে এই মাটি গুলি। আর আমাদের প্রশাসন নিরবতা পালন করছে। এমন ঘৃনিত কাজ কে নিরবে সহ্য করাটা ঠিক হচ্ছে না।
এ বিষয়ে রাবি এলাকার রাসিক ৩০ নং ওয়ার্ডের কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, গত সপ্তাহে মাসুদ রানা, নামের এক ঠিকাদার জ্বোহা হলের পূর্ব পার্শ্বে একটি পুকুর খনন করে কিছু মাটি সামাজিক কাজে লাগানোর জন্য ড্রাম ট্রাক যোগে নিয়ে গেলে তার কাজটি বন্ধ করে দেন এই প্রশাসন। সেই প্রশাসনই আবার এখন রাজশাহীর প্রভাবশালী ঠিকাদারদের কে মাটি বিক্রি করতে বাধা দিচ্ছেন না।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক বাংলার সকাল'কে জানাতে ই-মেইল করুন- banglarsakal24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
দৈনিক বাংলার সকাল'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।