রাজশাহীতে কড়াকড়ি থাকলেও মুভমেন্ট পাস ছাড়াই রাস্তায় মানুষ
প্রকাশিত : 10:09 PM, 17 April 2021 Saturday

অনলাইন ডেস্ক:রাজশাহীর মোড়ে মোড়ে পুলিশ। ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ভেতর রাস্তায় বের হওয়া মানুষগুলোর পথ আটকাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। রিকশা-অটোরিকশা থেকে যাত্রীদের নামিয়েও দেয়া হচ্ছে।তারপরও রাজশাহী শহরে মানুষের চলাচল দেখা যাচ্ছে। রাস্তায় বের হওয়া নিয়ে পুলিশ কড়াকড়ি করলেও কারও কাছে মুভমেন্ট পাস চাইতে দেখা যাচ্ছে না পুলিশকে।গত বুধবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর প্রথম দিন রাজশাহীতে বেশ কড়াকড়ি দেখা যায়। এরপর বৃহস্পতি ও শুক্রবার খানিকটা ঢিলেঢালা হয়ে পড়ে লকডাউন। শনিবার সকাল থেকে অবশ্য পুলিশকে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। কিন্তু মুভমেন্ট পাস না থাকলেও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।শনিবার সকালে নগরীর সাহেববাজার এলাকায় গিয়েছিলেন মিজান আহম্মেদ (২৮)। তিনি বলেন, ‘আমি কাঁচাবাজার করতে এসেছি। বাজার করেই বাড়ি চলে যাব।’ মুভমেন্ট পাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার নেওয়া হয়নি। না নেওয়ার কারণে পুলিশও কোথাও বাঁধা দেয়নি।’সাহেববাজার থেকে ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন সাগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাসুদ রানা (৩০)। তিনি বলেন, ‘মুভমেন্ট পাস তো নেওয়া হয়নি। পথে দুই-এক জয়গায় পুলিশ আটকেছিল। তবে মুভমেন্ট পাস দেখতে চায়নি।’রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমাদের এখানে কেউ একেবারেই মুভমেন্ট পাস নিচ্ছে না, এমনটি নয়। অনেকেই নিচ্ছেন। তবে আমাদের পক্ষ থেকে এটি ব্যাপক আকারে চেক করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র আমাদের প্রবেশ পথগুলোতে বেশি আকারে চেক করা হচ্ছে। তবে শহরের ভেতর তেমন চেক করা হচ্ছে না।’আজ শনিবারনগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশের কড়াকড়ি স্বত্বেও লোকজন বাইরে আসছেন। ছোট ছোট কিছু কিছু দোকানপাটও খুলছে। শহরে আগের চেয়ে রিকশা-অটোরিকশা চলাচলও বেড়েছে। তবে সংখ্যায় কম হওয়ায় রিকশা-অটোরিকশায় চাওয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।এদিকে লকডাউনের মধ্যেই রাজশাহীর এক ব্যক্তির রাস্তায় নামাজ পড়ার ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নগরীর বর্ণালী মোড় এলাকায় এক ব্যক্তি রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়ছেন। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পাশে পুলিশের একটি গাড়িও দাঁড়িয়ে আছে। যাঁরা ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করছেন তাঁরা বলছেন, লকডাউনের মধ্যে এই ব্যক্তি রিকশায় চড়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশ বাঁধা দেয়ার প্রতিবাদে তিনি রাস্তায় নামাজ পড়ছেন।বিটির বিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, এ রকম কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা জানতে পারিনি। ঘটনার সময় পুলিশের যে টিম দায়িত্ব পালন করছিল তারা থানায় ফেরার পর বলা যাবে।ওসি বলেন, লকডাউনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তারপরও নানা অজুহাতে মানুষ রাস্তায় বের হয়ে আসছেন।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক বাংলার সকাল'কে জানাতে ই-মেইল করুন- banglarsakal24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
দৈনিক বাংলার সকাল'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।