করোনাকালে শপিংমল খুলে দেয়ার প্রথম দিনই ঈদ শপিংয়ে উপচে পড়া ভিড়
প্রকাশিত : 06:05 PM, 26 April 2021 Monday

অনলাইন ডেস্ক:করোনাকালে শপিংমল খুলে দেয়ার প্রথম দিনই ঈদ শপিংয়ে উপচে পড়া ভিড় দেখে ঘাবড়াবেন না! ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর যুদ্ধকালীন সময়েও ঈদ পালন করেছিল ঢাকাবাসী! যুদ্ধের সময় ঢাকাতে ঈদের জামা কাপড়ও বেচাকেনা হয়েছে! অথচ তখন দেশে যুদ্ধ চলছে! লেখক আমিরুল ইসলাম স্মৃতিচারণ করেছেন পুরান ঢাকায় বাচ্চারা নতুন কাপড় পরে ঘুরেছে। তিনি লিখেছেন, “একাত্তরের বিবর্ণ, বিষন্ন ঈদের স্মৃতি বলতে নামাজ পড়া, পোলাও খাওয়া আর বড়দের পায়ে ধরে সালাম করা- এসব কিছুটা মনে আছে” (ইত্তেফাক, ৩ অক্টোবর, ২০১৪)।আমিরুল ইসলামের ভাষ্যে, “সেবার ঈদের দিনেও আব্বা সকালের দিকে চিৎকার শুরু করলেন একা একা। কেন যুদ্ধ চলছে? এই যুদ্ধের শেষ কোথায়? কতদিন এই যুদ্ধ চলবে? আব্বা নিজে নিজেই প্রশ্ন করছেন। নিজেই উত্তর দিচ্ছেন। আর যুদ্ধের কারণে তার যে ব্যক্তিগত ক্ষতি হচ্ছে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় হচ্ছে সেই বিষয়টাই তিনি হাহাকার করে চিৎকার করছেন। মা তখন পোলাও-মাংস বেড়ে দিলেন। মায়ের রান্না ছিল অসাধারণ। রান্নায় প্রচুর তেল মসলা দিতেন তিনি। গরম গরুর মাংসের ধোঁয়া উঠছে আর মসলার সুরভিত গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। সেই গন্ধেই আকুল হয়ে উঠলেন আব্বা। মেঝেতে দুই পা ভাঁজ করে বসে পড়লেন। তারপর ধীরে ধীরে খাওয়া শুরু করলেন পোলাও আর গরুর মাংস। টকটকে লাল ঝোলের মাংস। আব্বা খেতে খেতে একেবারে ঠাণ্ডা হয়ে গেলেন। তার কোনো উত্তেজনা নেই। খাওয়ার পরে আব্বা ঠাণ্ডা মেঝেতে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লেন। আমাদের ঘরে কোনো ফ্যান ছিল না। আব্বা হাত-পাখা দিয়ে বাতাস করতে লাগলেন। পরম তৃপ্ত তিনি”।১৯৭১ সালের ঈদেও ঢাকাবাসী কোর্মা-পোলাও দিয়ে ভুরিভোজের চিন্তা বাদ দেয়নি !শিল্পী হাশেম খান ঈদের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দেখলেন ইমাম সাহেব পাকিস্তানের কল্যাণ কামনা করে এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুণকীর্তন করে দোয়া চাইলেন খোদার কাছে। অপরদিকে সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীন বলছেন যুদ্ধাবস্থায় ঈদের জামাত পড়া জায়েজ নেই বলে তিনি ঈদের নামাজ পড়তে যাননি!
,
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক বাংলার সকাল'কে জানাতে ই-মেইল করুন- banglarsakal24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
দৈনিক বাংলার সকাল'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।